নতুন কোন দিশা পাবার উদ্দেশ্য যে কোন কিছু দেবার জন্য জীবনে একটা নির্দিষ্ট পরিপ্রেক্ষিত দরকার। তাহলে পরিপ্রেক্ষিতের খাতিরে মনের নীরবতা কেন নয়? বিখ্যাত লেখক ওয়েন ফেলথামের কথা অনুসারে মেডিটেশন হল আত্মার প্রেক্ষাপট। মেডিটেশন সার্বিকভাবে ভালো থাকাটা সুনিশ্চিত করে।
আধ্যাত্মিক অথবা ধর্মনিরপেক্ষ, তা সে যে উদ্দেশ্যেই মেডিটেশন করা হোক না কেন, এটা সর্বদা সবাইকে ইতিবাচক ফল দেয় এবং যার মধ্যে সবথেকে সেরা হল মেডিটেশনের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অসংখ্য উপকারিতা।

মেডিটেশনের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত উপকারিতা
হৃৎপিণ্ড: করোনারি হার্টের রোগে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে মেডিটেশন স্ট্রোক এবং হৃদরোগের ঝুঁকি ৫০% কমিয়ে দেয়। মানসিক অবস্থার ওপর ক্ষতিকারক ব্লাড সুগারের মাত্রার ওপর প্রভাব বিস্তার করার পাশাপাশি বিভিন্ন চাপের কারণ নিয়ন্ত্রণ করে এটা কার্যকারিভাবে মৃত্যুর হার কমায়। এটা সফল ভাবে মায়োকার্ডিয়াল ইনফ্র্যাক্সানও কমায়।

সার্বিক আরাম: মেডিকেশানের অত্যাশ্চর্য প্রভাব আছে, যে এটা বাস্তবিক মেটাবোলিজম কমিয়ে দিয়ে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি শ্বাস-প্রশ্বাস ঠিক করে হৃৎপিণ্ডের হৃৎস্পন্দনের গতি সুস্থ করে তোলা নিশ্চিত করে। মেডিটেশন অনমনীয় পেশীকে প্রসারিত করে ও ছাড়িয়ে দেয় এবং সার্বিকভাবে ভালো রাখাকেও সুনিশ্চিত করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে মজবুত করে: গবেষণা অনুসারে, বিশেষকরে সাইকোসম্যাটিক ওষুধ বা চিকিৎসার প্রসঙ্গে, মেডিকেশান বেশী পরিমাণে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সক্ষম হয় যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে মজবুত ও শক্তিশালী করে। এটা যে কোন ধরনের সংক্রমণ ও অসুস্থতা সারিয়ে তোলে।

মহিলাদের ফার্টালিটির জন্য উপকারিঃ বন্ধ্যত্বের সমস্যায় ভোগা মহিলাদের অনেক ক্ষেত্রে মেডিটেশন করবার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা তাদেরকে চাপ-ধকল, অবসাদ ও বিষণ্ণতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। পুষ্টি উপাদান ও স্বাস্থ্যকর খাবারের সাথে সঠিক মেডিকেশান ডিম্ব স্ফোটনে সাহায্য করে।

সুস্থ মস্তিষ্ক: মেডিকেশান মস্তিষ্কের ভেতরে গামা তরঙ্গ চালিত করে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা তাৎপর্যপূর্ণভাবে বাড়িয়ে দেয়। এটা এছাড়াও মস্তিষ্কের খুশী-আনন্দ এবং শিক্ষার জায়গায় দ্রুত কাজ করে। গামা তরঙ্গ স্মৃতিশক্তি, শিক্ষা এবং সচেতন উপলব্ধি ও মনোযোগ সংক্রান্ত মানসিক প্রক্রিয়াকে সুনিশ্চিত করে।

হাঁপানির প্রতিকার করে- এটা হল এমন এমন একটা অবস্থা যেখানে শ্বাস-প্রশ্বাসের গুরুতর ত্রুটি-বিচ্যুতি দেখা যায়। এটা বিভিন্ন ধরনের কারণের জন্য ঘটে, যথা পরিবেশগত কারণ বা ধূমপান কিংবা পোষ্যে এনার্জি, দূষণ অথবা শুধুই জিনগত কারণ। হাঁপানির জন্য মেডিক্যাল ট্রিটমেন্ট কার্যকারী হলেও, তারা কিন্তু দীর্ঘকালীন ভিত্তিতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। হাঁপানির আক্রমণের গুরুতর অবস্থার উপশমের জন্য মেডিটেশনকে কার্যকারী ও সফল ভাবে কাজে লাগানো যায় এবং একই সাথে ভবিষ্যতের বিপদ থেকেও রক্ষা করে।
আর যদি এই লেখাটি আপনার কোনো বন্ধু বা আত্মীয়দের উপকারে লাগে তাহলে নিচের শেয়ার বাটন গুলোতে ক্লিক করে তাদেরকে শেয়ার করুন।
আমাদের পরবর্তী লেখাগুলোর নোটিফিকেশন পাওয়ার জন্য ঘন্টার মতো দেখতে বাটনটিতে ক্লিক করুন।
আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করবেন। আমাদের টিম তার উত্তর যত দ্রুত সম্ভব দেওয়ার চেষ্টা করবে।
সবশেষে ভালো থাকবেন, খুশি থাকবেন আর সুস্থ থাকবেন।
0 comments:
Post a Comment