Tuesday, October 25, 2022

আশ্চর্য! গাজরের রস একগ্লাস, রোজ খেলে যা ঘটবে...

 


 রোজ গাজর খেলে বুদ্ধি বাড়ে,চোখের জ্যোতি বাড়ে। ছোটবেলায় একপ্রকার ভয় দেখিয়ে জোর করেই গাজর খাওয়াতেন বাড়ির লোকেরা। স্যালাডের মধ্যে শসা, পেঁয়াজ, ট্যমাটো, গাজর থাকলে প্রথমেই গাজর স্থান পায় পাতের পাশে। আর নুন দিয়ে গাজর সেদ্ধ তো নৈব নৈব চ। এদিকে চাইনিজ থেকে চাট, ভেলপুরি, কারি- সবেতেই গাজরের অবারিত দ্বার। আর ক্ষীর, দুধ, কাজু-কিসমিস দিয়ে গাজরের হালুয়া বানালে তো কথাই নেই। গন্ধের টানে পড়শি অবধি বাড়িতে এসে হাজির হবে। কমলা রঙের এই সুন্দর সব্জির অনেক গুণ। তাই প্রতিদিন সকালে ঘাম ঝরানোর পর যদি এক গ্লাস গাজরের জুস খেতে পারেন তাহলে কি কি হতে পারে জেনে নিন। 

ভিটামিনের যোগান
ভিটামিন এ- এর অন্যতম উৎস হল গাজর। গাজরের মধ্যে থাকা বিটা ক্যারোটিন দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। চোখের অন্যান্য সমস্যা, দৃষ্টিশক্তি হ্রাস ইত্যাদির মতো সমস্যায় বাধা দেয়। এতো বিজ্ঞানের বইতেও আমরা পড়েছি। তাই বাড়ির লোক কিন্তু ভুল বলতেন না। তবে গাজর একেবারে কাঁচা না খেয়ে হালকা ভাপিয়ে খান।  

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সহায়ক
গাজরের মধ্যে ক্যারটিনয়েড অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। ক্যান্সার প্রতিরোধে এবং রক্ত শুদ্ধিকরণের সাহায্য করে এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এছাড়াও মুখের থেকে দাগ ছোপ দূর করে, বয়সের ছাপ দূর করতে সাহায্য করে গাজরের জুস।

ক্যানসার প্রতিরোধে
হজমের পর খাদ্যের কিছু উচ্ছিষ্ট আমাদের শরাীরে থেকে যায়। যাকে ফ্রি র‍্যাডিকেলস বা মৌল বলে। এই ফ্রি র‍্যাডিকেলস শরীরের কিছু কোশ নষ্ট করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জাতীয় খাবার এই ধরনের মৌলের বিরুদ্ধে লড়াই করে। শরীরে ক্যানসারের কোশ উৎপাদন কম হয়। গবেষণায় দেখা যায়, প্রতি ১০০ গ্রাম গাজরে ৩৩ শতাংশ ভিটামিন ‘এ’, ৯ শতাংশ ভিটামিন ‘সি’ এবং ৫ শতাংশ ভিটামিন ‘বি-৬’ পাওয়া যায়। এগুলো এক হয়ে ফ্রি র‍্যাডিকেলসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।

0 comments:

Post a Comment