হ্যালো বন্ধুরা আপনারা কেমন আছেন!
আমাদের প্রকৃতি আমাদের দরকারি সমস্ত সামগ্রীই এই প্রকৃতিতে সৃষ্টি করে রেখেছে কিন্তু আমরা অনেকেই সেই সব অতি মূল্যবান বস্তুগুলি সম্পর্কে সচেতন নয়।
চলুন আজ আমরা সেইরকম কিছু জিনিস সম্পর্কে জানতে চেষ্টা করি।
আজকের আমাদের আলোচনার বিষয় সুস্থ থাকতে ইসবগুলের ভূমিকা
কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া প্রতিরোধ ও দূরীকরণে ইসুবগুলের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।
গরমে ও হজমের সমস্যার ঘরোয়া চিকিৎসা ও প্রতিকারের জন্য ইসুবগুল বেশ উপকারী।
আশ্চর্যজনক হলেও সত্য ইসুবগুল ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য দুটিই প্রতিরোধ করে।
ডায়রিয়া প্রতিরোধে দুই চামচ ইসুবগুলের সাথে তিনচামচ টাটকা দই মিশিয়ে খান। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে দুইচামচ ইসুবগুল এক গ্লাস কুসুম গরম দুধের সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন ঘুমাতে যাবার আগে খেলে বেশ কার্যকরী ফলাফল পাওয়া সম্ভব।
অ্যাসিডিটির ঘরোয়া প্রতিকার হতে পারে ইসুবগুল।
এটি সঠিক হজমের জন্য এবং পাকস্থলীর বিভিন্ন এসিড নিঃসরণে সাহায্য করে। অ্যাসিডিটির মাত্রা কমাতে প্রতিবার খাবার পর দুইচামচ ইসুবগুল আধা গ্লাস ঠাণ্ডা দুধে মিশিয়ে খান।
ইসুবগুল ওজন কমাতেও সাহায্য করবে। এটি দীর্ঘসময় পেট ভরা অনুভূত হয়। কুসুম গরম জলে দুই চামচ ইসুবগুল ও সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে নিয়ে সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে খেলে তা ওজন কমাবে।
উচ্চআঁশ সমৃদ্ধ এবং কম ক্যালরিযুক্ত হওয়ায় ইসুবগুল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগ থেকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে।
তাই হার্টকে সুস্থ রাখতে নিয়মিতভাবে খাবারের ঠিক পরে বা সকালে ঘুম থেকে উঠে ইসুবগুল খান।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ইসুবগুল খুবই ভালো।
এটি পাকস্থলীতে যখন জেলির মত একটি পদার্থে রূপ নেয় তখন তা গ্লুকোজের ভাঙ্গন ও শোষণের গতিকে ধীর করে। ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে থাকে।
প্রাকৃতিক ভাবে দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় ফায়বারে ভরপুর ইসুবগুল যারা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্যও উপকারী।
তাহলে আজকের জন্য এইটুকুই , এই লেখাটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে বন্ধুদের মধ্যে share করতে ভুলবেন না।
আমাদের পরবর্তী লেখাগুলোর নোটিফিকেশন পাওয়ার জন্য ঘন্টার মতো দেখতে বাটনটিতে ক্লিক করুন।
আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করবেন। আমাদের টিম তার উত্তর যত দ্রুত সম্ভব দেওয়ার চেষ্টা করবে।
সবশেষে ভালো থাকবেন, খুশি থাকবেন আর সুস্থ থাকবেন।
0 comments:
Post a Comment