Tuesday, October 25, 2022

রোজ বিটের জুস পান করেন? শরীরের কতটা ক্ষতি করছেন জানেন?

 


 বাস্থ্যকর সবজির মধ্যে অন্যতম হল বিট। ভারতীয়রা স্যালাডের সঙ্গে বিট খেতে বেশি পছন্দ করেন। অনেকে আবার মিহি করে কুঁচিয়ে রান্না করে খেতেও ভালবাসেন। বিটরুটের রস ভিটামিন, আয়রন এবং ফলিক অ্যাসিডের চমৎকার উৎস, যা লাল রক্ত ​​কণিকার উৎপাদন বাড়ায়, হিমোগ্লোবিনের মাত্রা এবং কোষে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ায়। বিটে আয়রন থাকায় চিকিৎসকরাও শরীরে রক্তের অভাব মেটাতে বিট খাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু আপনি কি জানেন, অতিরিক্ত বিটরুটের রস পান করা শরীরের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকারক? হ্যাঁ, বিটের উপকারিতা থাকলেও এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে।

বিটুরিয়া

বিট বা বিটযুক্ত রঙিন খাবার খাওয়ার পরে লাল বা গোলাপী রঙের প্রস্রাব হওয়াকে বলা হয় বিটুরিয়া। যাদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি রয়েছে, তাদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা গিয়েছে।

 

কিডনিতে পাথর

গবেষণা অনুসারে, বিট অক্সালেট সমৃদ্ধ এবং কিডনিতে পাথর হওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে। বিট ইউরিনারি অক্সালেট নিঃসরণ বাড়ায়, যা শরীরে ক্যালসিয়াম অক্সালেট পাথরের বিকাশ ঘটাতে পারে। তাই যারা কিডনিতে পাথরের সমস্যায় ভুগছেন, তাদেরকে চিকিৎসকরা বিট বা বিটের রস খাওয়া বন্ধ করার পরামর্শ দেন।

 

পেট খারাপ  
 
বিটরুটে নাইট্রেট থাকে। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসেস-এর একটি প্রকাশনা অনুসারে, শরীরে উচ্চ মাত্রার নাইট্রেটের কারণে পেটে ব্যথা হতে পারে। তাছাড়া, বিটের জুস পানের ফলে কেউ কেউ পেটের রোগে ভুগতে পারেন।

গর্ভাবস্থায় সমস্যা 
 
 বিটে নাইট্রেটের উপস্থিতি গর্ভবতী মহিলাদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক হতে পারে। গর্ভাবস্থায় অত্যধিক নাইট্রেট গ্রহণের ফলে এনার্জির অভাব, মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরা এবং চোখ, মুখ, ঠোঁট, হাত ও পায়ের চারপাশের ত্বকের রঙ নীল-ধূসর হয়ে যেতে পারে।

লিভারের ক্ষতি 
 
গবেষকদের মতে, বিটরুটের অত্যধিক ভোজনের ফলে লিভারে ধাতব আয়ন জমা হতে পারে, যা লিভারের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।
 
 ক্যালসিয়ামের অভাব
ক্যালসিয়ামের অভাব রিপোর্ট অনুসারে, অত্যধিক বিটরুটের রস শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা হ্রাস করতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যে সব মহিলাদের শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা কম থাকে, তাদের অত্যধিক বিটরুট রস বা বিট না খাওয়াই ভাল।

0 comments:

Post a Comment