হ্যালো বন্ধুরা আপনারা কেমন আছেন!
আমাদের প্রকৃতি আমাদের দরকারি সমস্ত সামগ্রীই এই প্রকৃতিতে সৃষ্টি করে রেখেছে কিন্তু আমরা অনেকেই সেই সব অতি মূল্যবান বস্তুগুলি সম্পর্কে সচেতন নয়।
চলুন আজ আমরা সেইরকম কিছু জিনিস সম্পর্কে জানতে চেষ্টা করি।
টমেটো একটি আকর্ষণীয় শীতকালীন সবজি। দৃষ্টিনন্দন এই সবজিটি যেমন স্বাদময় তেমনি পুষ্টি সমৃদ্ধ। এই সবজি কাঁচা ও পাকা দুই ভাবেই খাওয়া যায়। বিভিন্ন রান্নার স্বাদ স্পাইসি করে তুলতে এই সবজিটি ব্যবহার করে হয়।
রন্ধনপ্রণালী টমেটোর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এটা সবজি বানানো থেকে, সালাডের মধ্যে, স্যুপে, চাটনিতে এমনকি রূপচর্চায় ব্যবহার করা হয়। রান্না করার থেকে টমেটো কাঁচা খাওয়ায় পুষ্টিগুন বেশি পাওয়া যায়। টমেটোয় পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি রয়েছে যা স্বাস্থ্যের নানা সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
টমেটো খাওয়ার উপকারিতা:
১:) টমেটো ভিটামিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। একটি টমেটো দৈনিক প্রায় ৪০ শতাংশ ভিটামিন সরবরাহ করে থাকে।
টমেটোয় উপস্থিত ভিটামিন এ যা ইম্যুনিটি, দৃষ্টি, ত্বক ভালো রাখে এবং ভিটামিন কে যা আপনার হাড়ের জন্য ভালো, হৃদরোগের জন্য পুষ্টির চাবিকাঠি এবং ব্লাড প্রেসারের ভারসাম্য বজায় রাখে।
২:) ক্যান্সার প্রতিরোধে উপকারিঃ-
গবেষণায় দেখা যায়, টমেটোয় লাইকোপিন নামক এমন পুষ্টিকর উপাদান পাওয়া যায় যা প্রোস্টেট ক্যান্সারের কোষগুলির বৃদ্ধি পায় না বরং তাদেরও শেষ করে দেয়।
এছাড়াও টমেটোয় পর্যাপ্ত পরিমাণে উপস্থিত লাইকোপিন অনেক ধরণের ক্যান্সার প্রতিরোধে উপকারী।
৩:) স্বাস্থ্যকর চামড়াঃ-
নিয়মিত কাঁচা টমেটো খাওয়ার উপকারিতা মধ্যে একটি হল স্বাস্থ্যকর চামড়া।
টমেটারে উপস্থিত লাইকোপিন চামড়া থেকে আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি রক্ষা করে। যা ত্বকের দাগছোপ এবং বলিরেখার একটি প্রধান কারণ হয়।
৪:) ক্ষুধা বৃদ্ধিঃ-
রোজ টমেটো খেলে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা শক্তিশালী হয়, ঘাম পরিষ্কার থাকে এবং ক্ষুধা বৃদ্ধি পায়।
এছাড়াও টমেটো পচন শক্তি বৃদ্ধি করে পাশাপাশি ঘাম সম্পর্কিত অনেক সমস্যা দূর করতে সক্ষম।
৫:) পেটের কৃমি দূর করাঃ-
যদি আপনার পেটের মধ্যে কৃমি থাকে, তবে প্রতিদিন রোজ খালি পেটে টমেটোর খাবার বা টমেটোর রস পান কলে পেট থেকে সমস্ত কৃমি বের হয়ে যায়।
টমেটোর উপর কালো মরিচ লাগিয়ে খাওয়া খুব লাভজনক।
৬:) বাতের ব্যথা উপশমঃ-
টমেটোয় উচ্চ বায়ফ্লেভোনাইড এবং বিটা ক্যারোটিন থাকে , যা অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি এজেন্ট হিসাবে পরিচিত। যদি আপনার বাতের ব্যথা থাকে তাহলে নিয়মিত সকাল ও সন্ধ্যে টমেটোর জুস খান। বাতের ব্যথা উপশম হবে।
৭:) ডায়াবেটিস উপকারীঃ-
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য টমেটোযুক্ত খাবার খুব লাভজনক হয়।
টমেটো, ক্রোমিয়াম এর একটি খুব ভাল উৎস, যা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন একটি শসা এবং টমেটো খেলে ডায়াবেটিস রোগীদের উপকার হয়।
৮:) হাড় মজবুত করেঃ-
টমেটোতে উপস্থিত ভিটামিন ‘কে’ এবং ক্যালসিয়াম হাড়গুলি শক্তিশালী ও মেরামত করার জন্য খুব ভাল।
এছাড়াও, টমেটোয় লাইকোপিন নামক উপাদান হাড় উন্নত করে, যা অস্টিওপরোসিসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের একটি কার্যকর উপায়।
৯:) চোখের জন্য উপকারঃ-
টমেটোয় বিদ্যমান ভিটামিন ‘এ’ চোখের জন্য খুবই উপকারি। এটি দৃষ্টি শক্তি উন্নতি করে এবং রাতের অন্ধত্বা প্রতিরোধে সাহায্য করে।
১০:) ওজন নিয়ন্ত্রণ করেঃ-
টমেটো ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। আপনি যদি ওজন হ্রাস করার জন্য খাদ্য এবং ব্যায়াম করার পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে আপনার দৈনন্দিন খাদ্য টমেটো যোগ করুন।
টমেটোগুলি প্রচুর পরিমাণে জল এবং ফাইবার ধারণ করে, তাই এটিকে ওজন নিয়ন্ত্রণকারী ‘খাদ্য পূরণ ‘ বলা হয়। এটি এমন একটি খাদ্য যা দ্রুত পেট ভরায় বিনা ক্যালরি বা ফ্যাট ছাড়াই।
১১:) ত্বক ও চুলের জন্য উপকারিঃ-
টমেটো খাওয়ার উপকারিতা আরেকটি বিষয় হল ত্বক ও চুল।
বর্তমানে দূষণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ত্বক ও চুল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
টমেটোয় থাকা লাইকোপিন উপাদান ত্বক পরিষ্কার করে তোলে। এছাড়াও মুখে টমেটো লাগাতে পারেন।
পাশাপাশি টমেটোয় উপস্থিত ভিটামিন ’ এ ‘ চুল পড়া কমায়। তাই নিয়মিত খাবারের তালিকায় টমেটো যোগ করুন অথবা কাঁচা টমেটো খান।
আর যদি এই লেখাটি আপনার কোনো বন্ধু বা আত্মীয়দের উপকারে লাগে তাহলে নিচের শেয়ার বাটন গুলোতে ক্লিক করে তাদেরকে শেয়ার করুন।
আমাদের পরবর্তী লেখাগুলোর নোটিফিকেশন পাওয়ার জন্য ঘন্টার মতো দেখতে বাটনটিতে ক্লিক করুন।
আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করবেন। আমাদের টিম তার উত্তর যত দ্রুত সম্ভব দেওয়ার চেষ্টা করবে।
সবশেষে ভালো থাকবেন, খুশি থাকবেন আর সুস্থ থাকবেন।
0 comments:
Post a Comment