হ্যালো বন্ধুরা । আমাদের জীবন আনন্দ, সুখ দুঃখ হাসি ও কান্নার এক অদ্ভুত সংমিশ্রণ এর মধ্যেই রয়েছে রোগ ব্যাধি ও জড়ার উপস্থিতি।
বর্তমানে বিজ্ঞানের কল্যানে বেশিরভাগ রোগই নিরাময় করা সম্পূর্ণ ভাবে সম্ভব, কিন্তু বেশকিছু রোগের চিকিৎসা আজও অজানা !
আমাদের এই লেখার মাধ্যমে আমরা আপনাদের বিভিন্ন ধরনের রোগ ও তাদের নিরাময় করার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করবো।
স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ মাত্রই মেদ হলে তা ঝেড়ে ফেলে শরীরকে আবার চনমনে রাখতে চায়।
কিন্তু নিয়মতান্ত্রিকভাবে না জেনে করতে গিয়েই ভুল করে ফেলি বারবারে। ডায়েট চলাকালীন অবস্থায় যে ভুলগুলো আমরা করি সেগুলো ওজন তো কমায়ই না উল্টো আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
ডায়েটে যে ভুলগুলো সচরাচর আমরা করে থাকি সেগুলি হলো :-
১:)-সকালের খাবার না খাওয়া
ক্যালোরি কমানোর জন্য অনেকেই সকালের নাশতা খাওয়া বন্ধ করে দেন।
এটা শুধু মাত্র ভুলই নয় বরং স্বাস্থ্যহানির কারণ। আবার দেখা যায় এই ক্ষুধার কারণে আপনি দুপুরে অনেক বেশি পরিমাণে খেয়ে ফেলেন; যা পরোক্ষভাবে আপনার ওজন বাড়িয়ে দেয়।
সকালে প্রোটিন ও ফাইবার-সমৃদ্ধ নাশতা খেলে দেখা যাবে সারা দিনে আপনার ক্ষুধা কম পাবে। পুষ্টিবিদগণের গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা সকালে পুষ্টিকর খাবার খেয়ে দিন শুরু করেন, তাঁরা সাধারণত অনেক বেশি সুস্থ থাকেন এবং তাদের স্বাস্থ্য রক্ষায় ভুলও হয় না।
২:)-ক্রাশ ডায়েট
শর্টকাটে দ্রুত ১০ কেজি ওজন কমাতে কেউ কেউ ক্রাশ ডায়েট বেছে নেন। আর এই ক্রাশ ডায়েটের কারণে তাঁরা ক্যালোরি গ্রহণ একেবারেই ছেড়ে দেন।
এ কারণে অনেক দ্রুত হয়তো ওজন কমেও যায়। কিন্তু পরবর্তীতে যখনই আপনি ক্যালোরি-সমৃদ্ধ কোনো খাবার খেতে যাবেন, তখনই আপনার পরিপাকে সমস্যা হবে।
তাই সময় নিয়ে ডায়েট করুন। যাতে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক উপায়ে আপনার ওজন কমে যায়।
৩:)- অসময়ে স্ন্যাকস খাওয়া
আপনি হয়তো খাবার খাওয়ার সময় অনেক নিয়ম মেনে চলছেন।
কিন্তু মাঝে মাঝে কাজের ফাঁকে বা আড্ডার সময় টুকটাক স্ন্যাকস খেয়ে ফেলছেন। এই অনিয়মিত স্ন্যাকস খাওয়ার কারণে আপনার ডায়েট চার্ট পুরোপুরি কাজে লাগছে না।
তাই যদি ক্যালোরি কমাতে চান তাহলে অবশ্যই অসময়ে স্ন্যাকস খাওয়া বন্ধ করুন।
৪:)- বাদাম না খাওয়া
অনেকে ক্যালোরির ভয়ে বাদাম খায় না। এটা একটা বিশাল ভুল ধারণা।
অথচ বাদামে উচ্চ মাত্রায় প্রোটিন রয়েছে, যা পরিপাকে সাহায্য করে।
তাই বিশেষজ্ঞরা ডায়েট কন্ট্রোল করতে নিয়মিত অল্প করে হলেও বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেন।
৫:)- ফ্যাটের খাবার না খাওয়া
লো-ফ্যাট শরীরে জন্য সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ। সব সময় মনে রাখবেন, লো-ফ্যাট আর লো-ক্যালোরি এক না। আপনি যদি লো-ফ্যাটের এক টুকরো কেক খেতে চান তাহলে সে সময় ডায়েট চার্টে ঐ দিন ক্যালোরি সমৃদ্ধ খাবার কম খেতে হবে। তাহলেই সামঞ্জস্যতা বজায় থাকবে।
৬:)- ক্যালোরিযুক্ত জুস বা কফি খাওয়া
অনেক সময় ডায়েট করতে গিয়ে খাবারের অনেক নিয়ম আমরা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলি কিন্তু কফি বা জুস খাওয়া ছাড়তে পারি না।
এর অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে। যেমন, এক কাপ কফিতে ৫০০-এর বেশি ক্যালোরি আছে।
আর জুসের ক্যালোরি অনেক দ্রুত শরীরে কাজ করা শুরু করে দেয়। তাই যদি ওজন কার্যকরীভাবে কমাতে চান তাহলে ডায়েট করার পাশাপাশি এ ধরনের পানীয় অতিরিক্ত খাওয়া বাদ দিতে হবে।
৭:)- কম জল পান করা
ডায়েটের সময় এই ভুলটি সবাই করে থাকে।
ক্যালোরি কমাতে জল খুবই কার্যকরী। জলকম খাওয়ার কারণে যদি আপনি জলশূন্যতায় ভোগেন তাহলে আপনার পরিপাকে সমস্যা হবে।
এর ফলে আপনার ওজন কমার গতি কমে যাবে। তাই প্রতিবার খাওয়ার সময় এক গ্লাস জল খাওয়ার অভ্যাস করুন।
৮:)-দুধজাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়া
এটা সত্যি যে ফুল ফ্যাটের দুধ, চিজ ও আইসক্রিম খেলে ওজন বেড়ে যায়। কিন্তু এই ভয়ে যদি আপনি একেবারেই দুধজাতীয় খাবার খাওয়া ছেড়ে দেন তাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, যদি শরীর সঠিক পরিমাণে ক্যালসিয়াম পায় তাহলে এটি ফ্যাট কমাতে কার্যকরী হবে আর যদি শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি থাকে তাহলে ওজন অনেকটা বেড়ে যাবে।
তাই শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতে দুধজাতীয় খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। তবে অবশ্যই ননফ্যাট ও লো-ফ্যাটের কথাটি মনে রাখতে ভুলবেন না। বাজারে ননফ্যাট অথবা লো ফ্যাটের তরল দুধ পাওয়া যায়।
৯:)- অবাস্তব পরিকল্পনা করা
আপনি যদি চিন্তা করেন ডায়েটের প্রথম সপ্তাহে ২০ কেজি ওজন কমিয়ে ফেলবেন তাহলে আপনি কখনোই ওজন কমাতে পারবেন না।
যদি আপনি সপ্তাহে অন্তত পাঁচ কেজি ওজন কমাতে চান তাহলে এটা আপনার দ্বারা সম্ভব।
এমনকি ২ কেজি করেও কমাতে চান একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তাতেও আপনি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌছাতে পারবেন, তাই ডায়েটের আগে অবাস্তব কিছু চিন্তা না করে যেটা সম্ভব সেই পথে আগান।
১০:)-ছুটির দিনে ফাস্ট ফুড খাওয়া
এ ভুলটি আমরা প্রায়শঃই করে থাকি। ধরুন সারা সপ্তাহ আপনি ওজন কমানোর জন্য সালাদ আর স্বাস্থ্যকর খাবার খাচ্ছেন।
অথচ ছুটির দিনে বেড়াতে গিয়ে ফাস্টফুড বেছে নিচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, যেসব মানুষ সপ্তাহে দুবারের বেশি ফাস্টফুড খান, তাঁদের অন্যান্য ডায়েট করা মানুষের তুলনায় ১০ কেজি ওজন বেড়ে যায়। সুতরাং এ বিষয়কে মাথায় রেখে আমাদের ডায়েট করতে হবে।
তাহলে আজকের জন্য এইটুকুই , এই লেখাটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে বন্ধুদের মধ্যে share করতে ভুলবেন না।
আমাদের পরবর্তী লেখাগুলোর নোটিফিকেশন পাওয়ার জন্য ঘন্টার মতো দেখতে বাটনটিতে ক্লিক করুন।
আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করবেন। আমাদের টিম তার উত্তর যত দ্রুত সম্ভব দেওয়ার চেষ্টা করবে।
সবশেষে ভালো থাকবেন, খুশি থাকবেন আর সুস্থ থাকবেন।
0 comments:
Post a Comment