ঘি
গরম ভাতের সাথে এক চামচ ঘি হলে গ্রোগ্রাসে খেয়ে ফেলা যায় প্লেটের পর প্লেট ভাত। ঘি খেলে স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। তবে এই নতুন শহুরে প্রজন্মের কাছে ঘি অনেকটাই অচেনা। কেউ আবার মোটা হওয়ার ভয়ে ঘি খান না। কিন্তু আসল খবর হলো, অনেক ধরনের উপকারের পাশাপাশি ঘি ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
সাধারণত অন্যান্য সব তেলই ২৫০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে গরম করলে নষ্ট বা ক্ষতিকর হয়ে যায়। কিন্তু ঘি এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। ঘিয়ের স্ফুটনাঙ্ক বেশি বলে অধিক তাপমাত্রায়ও ঘি ভালো থাকে। এবং এই কারণেই ঘি খুব সহজে নষ্ট হয় না। ১০০ বছর পর্যন্ত ঘি ভালো থাকার রেকর্ড রয়েছে।
ঘি থেকে অ্যালার্জি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। এটা অনেকটা দুগ্ধজাত দ্রব্যের মতোই। সাথে আছে সুন্দর গন্ধ ও স্বাদ। ভিটামিন এ ও ই এবং পুষ্টিগুণ তো আছেই।
নতুন মায়েদের সাধারণত ঘি খেতে দেয়া হয়। এর কারণ ঘিয়ে আছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের অ্যান্টি-ভাইরাল গুণ। যা দ্রুত ক্ষত সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে।
বেশির ভাগ অ্যাথলেটই দৌড় শুরুর আগে ঘি খেয়ে নেন। কারণ ঘিয়ে আছে মিডিয়াম চেন ফ্যাটি অ্যাসিড, যা শরীরে এনে দেয় বাড়তি শক্তি। এর ফলে ওজনও কমে।
ঘিয়ে থাকা বাটাইরিক অ্যাসিড হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে ঘি খেলে পেট থাকে ঠান্ডা। হজম শক্তি বাড়লে ক্ষুধা বাড়বে, এটাই স্বাভাবিক। এই বাটাইরিক অ্যাসিড শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও কাজ করে।
ঘি অতি প্রাচীন খাবার। বহুকাল আগে থেকেই ঘি পজিটিভ ফুড হিসেবে গণ্য হয়ে আসছে।
আর যদি এই লেখাটি আপনার কোনো বন্ধু বা আত্মীয়দের উপকারে লাগে তাহলে নিচের শেয়ার বাটন গুলোতে ক্লিক করে তাদেরকে শেয়ার করুন।
আমাদের পরবর্তী লেখাগুলোর নোটিফিকেশন পাওয়ার জন্য ঘন্টার মতো দেখতে বাটনটিতে ক্লিক করুন।
আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করবেন। আমাদের টিম তার উত্তর যত দ্রুত সম্ভব দেওয়ার চেষ্টা করবে।
সবশেষে ভালো থাকবেন, খুশি থাকবেন আর সুস্থ থাকবেন।
0 comments:
Post a Comment