নিম (বৈজ্ঞানিক নাম: Azadirachta indica) একটি ঔষধি গাছ যার ডাল, পাতা, রস সবই মানুষের দৈনন্দিন জীবনে বহুবিধ কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে। নিম একটি বহুবর্ষজীবী ও চিরহরিৎ বৃক্ষ। আকৃতিতে ৪০-৫০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। এর কাণ্ডের ব্যাস ২০-৩০ ইঞ্চি পর্যন্ত হতে পারে। এর ডাল, পাতা, রস, সবই কাজে লাগে। নিম একটি বহু বর্ষজীবী ও চিরহরিৎ বৃক্ষ। পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্রই নিম গাছ পাওয়া যায়। এই গাছ প্রাপ্তবয়স্ক হতে সময় নেয় ১০ বছর। নিম গাছ সাধারণত উষ্ণ আবহাওয়া প্রধান অঞ্চলে ভালো হয়।
নিমের কিছু ব্যবহারিক উপকারিতা:
কফজনিত বুকের ব্যথা:
অনেক সময় বুকে কফ জমে বুক ব্যথা করে। এ জন্য ৩০ ফোটা নিম পাতার রস সামান্য গরম জলে মিশিয়ে দিনে ৩/৪ বার খেলে বুকের ব্যথা কমবে। গর্ভবতী, শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য এই ওষুধটি নিষিদ্ধ।
কৃমি:
পেটে কৃমি হলে শিশুরা রোগা হয়ে যায়। চেহারা ফ্যকাশে হয়ে যায়। এ জন্য ৫০ মিলিগ্রাম পরিমাণ নিম গাছের মূলের ছালের গুঁড়ো দিনে ৩ বার সামান্য গরম জল সহ খেতে হবে।
উকুন নাশ:
নিমের পাতা বেঁটে হালকা করে মাথায় লাগান। ঘণ্টা খানেক পরে মাথা ধুয়ে ফেলুন। ২/৩ দিন এ ভাবে লাগালে উকুন মরে যাবে।
অজীর্ণ:
অনেক দিন ধরে পেটে অসুখ। পাতলা পায়খানা হলে ৩০ ফোটা নিম পাতার রস, সিকি কাপ জলের সঙ্গে মিশিয়ে সকাল-বিকাল খাওয়ালে উপকার পাওয়া যাবে।
খোস পাঁচড়া:
নিম পাতা সিদ্ধ করে জল দিয়ে চান করলে খোস পাঁচড়া চলে যায়। পাতা বা ফুল বেটে গায়ে কয়েক দিন লাগালে চুলকানি ভালো হয়।
পোকামাকড়ের কামড়:
পোকামাকড় কামড় দিলে বা হুল ফোটালে নিমের মূলের ছাল বা পাতা বেঁটে ক্ষতস্থানে লাগালে ব্যথা উপশম হবে।
দাঁতের রোগ:
নিমের পাতা ও ছালের গুঁড়ো কিংবা নিমের ছাল দিয়ে নিয়মিত দাত মাজলে দাঁত হবে মজবুত।
জন্ডিস:
বাচ্চাদের জন্য ৫-১১ ফোঁটা, বয়স্কদের জন্য ১ চামচ রস একটু মধু মিশিয়ে খালি পেটে খেতে হবে প্রতি দিন সকালে।
ডায়াবেটিস রোগ:
৫টি গোলমরিচের সঙ্গে ১০টি নিম পাতা একত্রে সকালে খালি পেটে খেতে হবে।
আর যদি এই লেখাটি আপনার কোনো বন্ধু বা আত্মীয়দের উপকারে লাগে তাহলে নিচের শেয়ার বাটন গুলোতে ক্লিক করে তাদেরকে শেয়ার করুন।
আমাদের পরবর্তী লেখাগুলোর নোটিফিকেশন পাওয়ার জন্য ঘন্টার মতো দেখতে বাটনটিতে ক্লিক করুন।
আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করবেন। আমাদের টিম তার উত্তর যত দ্রুত সম্ভব দেওয়ার চেষ্টা করবে।
সবশেষে ভালো থাকবেন, 🙏🙏🙏🙏 খুশি থাকবেন আর সুস্থ থাকবেন।
0 comments:
Post a Comment