কালমেঘ
কালমেঘ আমাদের দেশে একটি বহুল প্রচলিত ভেষজ উদ্ভিদ। এই গাছের গড় উচ্চতা ১ মিটার। এই গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদের ১ সেমি লম্বা ফুলের রং গোলাপী। দেড় থেকে দু সেমি লম্বা ফল অনেকটা ধানের মতো দেখতে। অকেনথেসি বর্গের অন্তর্ভুক্ত এই গাছটির বৈজ্ঞানিক নাম অ্যান্ড্রোগ্রাফিস পানিকুলাটা।
ভারতের পূর্বাঞ্চল, হিমাচল প্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গে জন্মে থাকে। আর্দ্র ও অন্ধকারময় স্থানে এই উদ্ভিদের ভালো বৃদ্ধি হয়। তবে অল্প আলোকে বেশি চাষ হয়। সাধারণ ভাবে বিনা যত্নেই এই গাছ বেড়ে ওঠে। শিকড় ছাড়া কালমেঘ গাছের সব অংশই ওষুধের কাজে লাগে। কালমেঘের স্বাদ অত্যন্ত তেতো। জ্বর, কৃমি, আমাশয়, সাধারণ শারীরিক দুর্বলতা এবং বায়ু আধিক্যে কালমেঘ অত্যন্ত উপকারী।
তরিতরকারি হিসাবে কালমেঘ পাতা খাওয়া না হলেও ওষুধ হিসাবে এর বহুল ব্যবহার রয়েছে।শিশুদের যকৃৎ রোগে এবং হজমের সমস্যায় কালমেঘ ফলপ্রদ। কালমেঘের পাতা থেকে তৈরি আলুই পশ্চিমবঙ্গের ঘরোয়া ওষুধ যা পেটের অসুখে শিশুদের দেওয়া হয়।বড়দেরও পেটের বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে কালমেঘ পাতা বেশ উপকারি। টাইফয়েড রোগে এবং জীবাণুরোধে কালমেঘ কার্যকর।
ভেষজ গুণ
কালমেঘ গাছের পাতার রস জ্বর, কৃমি, অজীর্ণ, লিভার প্রভৃতি রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে পাতার রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ানো হয়।
এ গাছের রস রক্ত পরিষ্কারক, পাকস্থলী ও যকৃতের শক্তিবর্ধক ও রেচক হিসেবেও কাজ করে।
গাছের পাতা সিদ্ধ করে ক্ষতস্থানে লাগিয়ে দিলে ঘা-পাঁচড়া জাতীয় রোগ সেরে যায়।
টাইফয়েডের প্রতিষেধক হিসাবে ব্যবহার হয়।
অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জ্বালাভাব দূর করে।
সর্দিকাশি, ব্রঙ্কাইটিস, বাত, অর্শ রোগ নিরাময়ে কার্যকর।
ফ্লু ও সাইনাসাইটিসের জন্য উপকারী।
আর যদি এই লেখাটি আপনার কোনো বন্ধু বা আত্মীয়দের উপকারে লাগে তাহলে নিচের শেয়ার বাটন গুলোতে ক্লিক করে তাদেরকে শেয়ার করুন।
আমাদের পরবর্তী লেখাগুলোর নোটিফিকেশন পাওয়ার জন্য ঘন্টার মতো দেখতে বাটনটিতে ক্লিক করুন।
আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করবেন। আমাদের টিম তার উত্তর যত দ্রুত সম্ভব দেওয়ার চেষ্টা করবে।
সবশেষে ভালো থাকবেন, খুশি থাকবেন আর সুস্থ থাকবেন।
0 comments:
Post a Comment