Thursday, September 29, 2022

ক্যান্সার সম্পর্কিত কিছু বিস্তারিত তথ্য || ক্যান্সার ||

 


 হ্যালো বন্ধুরা । আমাদের জীবন আনন্দ, সুখ দুঃখ হাসি ও কান্নার এক অদ্ভুত সংমিশ্রণ এর মধ্যেই রয়েছে রোগ ব্যাধি ও জড়ার উপস্থিতি।
বর্তমানে বিজ্ঞানের কল্যানে বেশিরভাগ রোগই নিরাময় করা সম্পূর্ণ ভাবে সম্ভব, কিন্তু বেশকিছু রোগের চিকিৎসা আজও অজানা !
আমাদের এই লেখার মাধ্যমে আমরা আপনাদের বিভিন্ন ধরনের রোগ ও তাদের  নিরাময় করার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করবো।


প্রথমেই জানা যাক ক্যান্সার কি?

ক্যান্সারঃ ক্যান্সার বা কর্কটরোগ হল অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজন সংক্রান্ত রোগসমূহের সমষ্টি। এখনও পর্যন্ত এই রোগের মৃত্যুর হার অনেক বেশি। কারণ প্রাথমিক অবস্থায় ক্যান্সার রোগ সহজে ধরা পরে না, ফলে দেখা যায় শেষ পর্যন্ত গিয়ে ভালো কোনও চিকিৎসা দেয়াও সম্ভব হয় না। বাস্তবিক অর্থে ক্যান্সারের চিকিৎসায় পুরোপুরি কার্যকর কোনও ওষুধ এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয় নি। ক্যান্সার সারানোর জন্য বিভিন্ন ধরেনর চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। তবে দেখা যায় প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পরলে এই রোগ সারানোর সম্ভাবনা অনেকাংশ বেড়ে যায়। সারা পৃথিবীতে ২০০ প্রকারেরও বেশি ক্যান্সার রয়েছে। প্রত্যেক ক্যান্সারই আলাদা আলাদা এবং এদের চিকিৎসা পদ্ধতিও সম্পূর্ণ আলাদা। বর্তমান সময়ে ক্যান্সার নিয়ে প্রচুর গবেষণা হচ্ছে এবং এ সম্পর্কে আরও নতুন নতুন অনেক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।

বিশ্বের সমস্ত প্রাণীর শরীর অসংখ্য ছোট ছোট কোষের মাধ্যমে তৈরি। এই কোষগুলো দেখা যায় একটা নির্দিষ্ট সময় পর পর মারা যায়। এই পুরনো কোষগুলোর জায়গায় নতুন করে কোষ এসে জায়গা করে নেয়। সাধারনভাবে দেখা যায় কোষগুলো নিয়ন্ত্রিতভাবে এবং নিয়মমতো বিভাজিত হয়ে নতুন কোষের জন্ম দেয়। সাধারনভাবে বলতে গেলে যখন এই কোষগুলো কোনও কারণে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়তে থাকে তখনই ত্বকের নিচে মাংসের দলা অথবা চাকা দেখা যায়। একেই সাধারণত টিউমার বলে। এই টিউমার বিনাইন বা ম্যালিগন্যান্ট এই ধরনের হতে পারে। ম্যালিগন্যান্ট টিউমারকেই ক্যান্সার বলে।

ক্যান্সারের কারণঃ

ঠিক কি কারণে ক্যান্সার হয় সেটা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে সাধারণ কিছু কারণ খুঁজে পাওয়া গেছে।

খাবার এবং জীবনযাপনের ধারাঃ

খাবার এবং জীবনযাপনের ধারার সাথে ক্যান্সারের গভীর সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছে গবেষকরা। যেমন, ধুমপান বা মদ্যপানের সাথে ফুসফুস, মুখ ও কণ্ঠনালীর এবং যকৃৎ বা লিভারের ক্যান্সারের যোগাযোগ রয়েছে। তেমনই ভাবে পান-সুপারি, জর্দা, মাংস, অতিরিক্ত লবণ, চিনি ইত্যাদি খাবারের সাথেও ক্যান্সারের যোগসূত্র রয়েছে। যারা সাধারণত শারীরিক পরিশ্রম কম করে তাদের শরীরের মধ্যে ক্যান্সারের প্রবণতাটা বেশি।

ক্যান্সারের সাধারণ লক্ষণঃ

গোড়াতেই যদি চিহ্নিত করা যায় তাহলে অনেক দুরারোগ্য রোগের হাত থেকেই নিস্তার মেলে। কিন্তু আমরা তো সেগুলোকে মোটেই পাত্তা দিয়ে থাকি না! উল্টো করে যদি বলি, ‘শরীর থাকলে শরীরে একটু-আধটু আধি-ব্যাধি থাকবেই’। এরকম ভাবেই ক্যান্সারের একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ের অনেক গুলোই লক্ষণ আছে। অবহেলা না করে যদি আপনি একটু নজর দিলেই এই কঠিন দুরারজ্ঞ ব্যাধি থেকে রেহাই পেতে পারেন।


১। খুব ক্লান্ত বোধ করা

২। ক্ষুধা কমে যাওয়া

৩। অস্বাভাবিক রক্তপাত হওয়া

৪।শরীরের যে কোনজায়গায় চাকা বা দলা দেখা দেয়া

৫। মলত্যাগে পরিবর্তন আসা (ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য কিংবা মলের সাথে রক্ত যাওয়া)

৬। জ্বর, রাতে ঠান্ডা লাগা বা ঘেমে যাওয়া

৭। অস্বাভাবিকভাবে ওজন কমা

৮।  দীর্ঘস্থায়ী কাশি বা গলা ভাঙ্গা

৯। ত্বকের পরিবর্তন দেখা যাওয়া

ক্যান্সারের প্রকারভেদ

ক্যান্সারের কোন প্রকারভেদ নেই। বিভিন্ন কারনে এটা হতে পারে।তবে সচারচর যে রোগ গুলো বেশি দেখা দেই আমাদের মাঝে আজকে তাই আলোচনা করব। আসুন এবার জেনে নাওয়া যাক এই কঠিন ব্যাধির কিছু কঠিন নামঃ

লিভার কান্সার

লিভার এর ম্যালিগন্যান্ট টিউমারকেই সাধারানত লিভার কান্সার বলা হয় । লিভার ক্যান্সার ২ ধরণের হয়ে থাকে প্রথমটা প্রাইমারি লিভার ক্যান্সার এবং ট্রান্সফারড লিভার ক্যান্সার। তবে এই প্রাইমারি লিভার ক্যান্সার ই সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। সাম্প্রতিক সময়ে পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রতি বছর বিশ্বের ৬০,০০০০ মানুষ এই ক্যান্সার এ আক্রান্ত হন। আক্রান্তের সংখ্যার দিক দিয়ে এই মহামারী ক্যান্সারের অবস্থান চতুর্থ এবং মৃত্যু হারের দিক দিয়ে এটি তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।


পূর্ব এশিয়ার কিছু দেশ যেমন সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া ফিলিপিন, ইত্যাদি লিভার ক্যান্সার এর দিক দিয়ে সবথেকে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সাধারণত ৫০-৬০ বছর বয়সীরা এই ক্যান্সারে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন। তবে পুরুষদের ক্ষেত্রে এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার হার মহিলাদের তুলনায় ৭-১০ গুণ বেশি । চিকিৎসা প্রযুক্তির প্রভূত উন্নয়নের ফলে লিভার ক্যান্সারের অত্যন্ত উন্নত ও আধুনিক চিকিৎসা বর্তমানে দেয়া সম্ভব।  

লিভার ক্যান্সার কেন হয় ?

১) ক্রনিক হেপাটাইসিসঃ ভাইরাল হেপাটাইসিস লিভার কান্সারের সাথে সম্পর্কিত । প্রায় ৩০% ক্যান্সার রোগীর ক্ষেত্রে দেখা যায় যে তাদের এর আগে ক্রনিক হেপাটাইসিস ছিল এর মধ্যে হেপাটাইসিস বি সবচেয়ে কমন।

২) সিরোসিসঃ প্রায় ৫০%-৯০% ক্ষেত্রেই দেখা যায় লিভার কান্সারের রোগী সিরোসিস এ ভুগে থাকেন। সুতরাং ক্যান্সার প্রতিরোধ করার জন্য লিভার সিরোসিস এর রোগীদের নিয়মিত হাসপাতালে চেক-আপ করাতে হবে।

৩) দীর্ঘদিন ধরে দূষিত পানি পান করার ফলেও লিভার ক্যান্সার হতে পারে।

৪) দীর্ঘদিন ধরে ছত্রাক যুক্ত খাবার বা পচা খাবার খেলে লিভার কান্সার হতে পারে।

অতিরিক্ত লবনাক্ত খাবার, ভাঁজা-পোড়া  ইত্যাদি খেলে লিভার ক্যান্সার হতে পারে।

ফুসফুস ক্যান্সার

ফুসফুস ক্যান্সার হল একটি বহুল প্রচলিত ম্যালিগন্যান্ট টিউমার যা ফুসফুসে হয়।বেশীর ভাগ ফুসফুস ক্যান্সার শ্বাসনালীর এপিথেলিয়াম এ হয় বলে একে ব্রঙ্কাইয়াল ক্যান্সার বা শ্বাসনালীর ক্যান্সারও বলা হয়।



ফুসফুস ক্যান্সারের কারণগুলো নিন্মে দেয়া হলঃ

১।   ধূমপান ফুসফুস ক্যান্সারের প্রধান কারণ। ১৯৫০ সাল থেকে অসংখ্য গবেষণায় প্রাপ্ত, এটি একটি প্রতিষ্ঠিত সত্য। ২।   ফুসফুস ক্যান্সারের ৯০ শতাংশ কারণ প্রত্যক্ষ ধূমপান

৩।  যিনি দিনে এক প্যাকেট সিগারেটের ধূম পান করেন, তাঁর ফুসফুস ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি অধূমপায়ীর চেয়ে ২৫-৩০ গুণ বেশি। ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর ৯০ শতাংশ ধূমপায়ী। তবে সব ধূমপায়ীই ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হন না। প্রতি ১০ জন ধূমপায়ীর মধ্যে চারজনের ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

৪।   ফুসফুস ক্যান্সারের ঝুঁকির পরিমাণ ততই বেশি হয়; যত অল্প বয়সে ধূমপান শুরু করা হয়, যত বেশি পরিমাণে ধূমপান হয়, যত দীর্ঘদিন ধূমপানে অভ্যস্ত থাকা হয়।

৫।   সিগারেটের ধোঁয়ায় প্রায় ৪০০ রকমের রাসায়নিক পদার্থ আছে। এর মধ্যে বেশির ভাগই ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান (কার্সিনোজেন)।

৬।   ধূমপানে ঝুঁকির মাত্রা আরও বেড়ে যায় যদি অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ কারণ থাকে।

এ ছাড়াও আরও অনেক কারন আছে, যেইগুলা ফুসফুস ক্যান্সার এর কারন হতে পারে।

স্তন ক্যান্সার

নিয়মিত স্তন পরীক্ষা করা কিংবা প্রতি এক অথবা দুই বছর অন্তর ম্যামোগ্রাম(স্তনের এক্সরে ছবি) করিয়ে আপনি সম্ভবত ভাবছেন, স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে আপনি যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করছেন। সমস্যা হলো স্তনে চাকা কিংবা মাংসপিন্ডের উপস্থিতি সনাক্ত করার কথা শুনতে যতটা সহজ মনে হয় বাস্তবে এটা সনাক্ত করা ততটা সহজ নয়।

গবেষণায় দেখা গেছে, যতক্ষণ মাংসপিন্ডের আকার অন্তত ১০ থেকে ১৫ মিলিমিটার সাইজের না হচ্ছে ততক্ষণ স্পর্শের মাধ্যমে এর উপস্থিতি সনাক্ত করা কঠিন। স্তনে সৃষ্টি হওয়া টিউমার ২০ মিলিমিটার বা তার বেশি হলেই সুনিশ্চিতভাবে আপনি তা স্পর্শের মাধ্যমে অনুভব করতে পারবেন।ইতিমধ্যেই শীর্ষ স্তন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নারীর নিজের শরীরের ব্যাপারে সচেতন হওয়া উচিত এবং শরীরের যে কোনো পরিবর্তন সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে। স্তন ক্যান্সার থেকে বেঁচে যাওয়া নারীদের অভিজ্ঞতার আলোকে এই রোগের প্রাথমিক এবং আশ্চর্যজনক কিছু লক্ষণ সম্বন্ধে আলোকপাত করা হলো।


স্তন ক্যান্সারের সতর্কতাসূচক লক্ষণ

১। স্তন কিংবা বুকে ব্যথাঃ স্তন কিংবা বুকে ব্যথা, ধড়ফড় করা, টনটন করা অথবা ধারালো ছুরির আঘাতের মতো ব্যথা কিংবা অস্বস্তি কোন ভালো লক্ষণ নয়। ব্রেস্ট ক্যান্সার থেকে বেঁচে যাওয়া এক রোগী ডাক্তারের কাছে বর্ণনা করেন, তীব্র ব্যথা যা আসে এবং চলে যায়। আরেকজন এই ব্যথাকে মৃদু বৈদ্যুতিক শকের সাথে তুলনা করেছেন। তিনি বলেন, এটা আমার বাম স্তন থেকে প্রবাহিত হয়ে ডান স্তনবৃন্তে যাচ্ছে বলে মনে হয়।

২। স্তনে চুলকানিঃ এই লক্ষণ প্রদাহজনক স্তন ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ বলে বিবেচনা করা হয়। এটা আশ্চর্যের বিষয় যে, অনেক নারী এধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার পর, এটাকে চর্মরোগ বিবেচনা করে মাসের পর মাস চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে গিয়ে চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। স্তনে ফুসকুড়ি হলে তীব্র চুলকানি থেকে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে মলম ব্যবহার করেও কোন উপকার পাওয়া যায় না। এধরনের সমস্যায় স্তনের চামড়া আঁশযুক্ত হয়ে যায়। স্তনে টোল খায় অথবা খাঁজের সৃষ্টি হয়। স্তন কুঁচকে যায়।

৩। পিঠের উপরের দিকে, কাঁধে কিংবা ঘাড়ে ব্যথাঃ স্তন ক্যান্সারের অনেক রোগীর ক্ষেত্রে বুকে ব্যথা না করে কাঁধে কিংবা ঘাড়ে, পিঠে ব্যথা করে। এ কারণে অনেকে মেরুদন্ড বিশেষজ্ঞের কাছে গিয়ে স্বাভাবিকভাবেই ক্রনিক পিঠে ব্যথার চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। যা ফিজিক্যাল থেরাপি দিয়েও ঠিক করা যায় না।অনেক স্তন টিউমার গ্রন্থিময় টিস্যুতে বিকশিত হয়, যা বুকের গভীরে প্রসারিত হয়। এই টিউমার বড় হয়ে পাঁজরে কিংবা মেরুদন্ডে চাপের সৃষ্টি করে। ফলে এসব এলাকায় ব্যথার উদ্ভব হয়। এ থেকে পরবর্তীকালে দ্বিতীয় পর্যায়ের হাড়ের ক্যান্সার হতে পারে।

৪। স্তনের আকার পরিবর্তনঃ স্তন ক্যান্সারের প্রাথমিক সনাক্তকরণের ক্ষেত্রে জনপ্রিয় ধারণা হলো স্তনে চাকার উপস্থিতি। তবে ক্যালিফোর্নিয়ার স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত ৪২ বছর বয়সি একজন নারী বলেন, চাকার পরিবর্তে আমার একটি স্তন ডিম্বাকৃতির মতো হয়ে গিয়েছিলো।এই ধরণের সমস্যা অনুভব করার চেয়ে আয়নার সামনে বেশি দৃশ্যমান হয়। এক্ষেত্রে ব্রা খুলে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ভালভাবে আপনার স্তন পর্যবেক্ষণ করুন।

৫। লাল, ফোলা স্তনঃ স্তনে আঘাত লাগলে স্বাভাবিকভাবেই এটি ফুলে যাবে।কিন্ত স্তন যদি গরম অনুভূত হয় কিংবা লালচে রঙ এর হয়ে যায় তাহলে স্তনগ্রন্থির স্ফীতি অথবা প্রদাহ বলে সন্দেহ করতে পারেন। এটা প্রদাহজনক স্তন ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। এছাড়া স্তনের টিউমারের কারণে স্তন ফুলে যেতে পারে। এক্ষেত্রে আপনি নিজেই ফোলাভাব পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।


তাহলে আজকের জন্য এইটুকুই , এই লেখাটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে বন্ধুদের মধ্যে share করতে ভুলবেন না।
 আমাদের পরবর্তী লেখাগুলোর নোটিফিকেশন পাওয়ার জন্য ঘন্টার মতো দেখতে বাটনটিতে ক্লিক করুন। 

আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করবেন। আমাদের টিম তার উত্তর যত দ্রুত সম্ভব দেওয়ার চেষ্টা করবে।

সবশেষে ভালো থাকবেন, খুশি থাকবেন আর সুস্থ থাকবেন।


0 comments:

Post a Comment