Friday, September 30, 2022

ফুসফুস ক্যান্সারের রোগলক্ষন ও প্রতিকার

 


হ্যালো বন্ধুরা । আমাদের জীবন আনন্দ, সুখ দুঃখ হাসি ও কান্নার এক অদ্ভুত সংমিশ্রণ এর মধ্যেই রয়েছে রোগ ব্যাধি ও জড়ার উপস্থিতি।
বর্তমানে বিজ্ঞানের কল্যানে বেশিরভাগ রোগই নিরাময় করা সম্পূর্ণ ভাবে সম্ভব, কিন্তু বেশকিছু রোগের চিকিৎসা আজও অজানা !
আমাদের এই লেখার মাধ্যমে আমরা আপনাদের বিভিন্ন ধরনের রোগ ও তাদের  নিরাময় করার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করবো।
 
Lung cancer বা ফুসফুস ক্যান্সারে ফুসফুসের টিস্যুগুলিতে অনিয়ন্ত্রিত কোষবৃদ্ধি ঘটে। এই বৃদ্ধির ফলে মেটাস্টাসিস, প্রতিবেশী টিস্যু আক্রমণ এবং ফুসফুসের বাইরে সংক্রমণ ঘটতে পারে। প্রাথমিক ফুসফুসের ক্যান্সারের অধিকাংশই ফুসফুসের কার্সিনোমা, যা ফুসফুসের এপিথেলিয়াল কোষগুলিতে ধরা পড়ে। ফুসফুসের ক্যান্সার পুরুষদের ক্যান্সার-জনিত মৃত্যুর প্রধান কারণ এবং মহিলাদের এরূপ মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ। 

জেনে নেয়া যাক, ফুসফুস ক্যান্সারের লক্ষণগুলো-

১:) চাপা কাশি ফুসফুসের ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। যদিও অন্য কারণে চাপা কাশি হতে পারে। তারপরও কফ দীর্ঘদিন থাকলে সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

২:) ধূমপায়ী হলে দীর্ঘস্থায়ী কফের সঙ্গে বেশি শ্লেষ্মা ও রক্ত গেলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

৩:)  বেশ কিছুদিন ধরে মাথা ব্যথা, বুক ব্যথা কিংবা কাঁধে ব্যথা হলেও সাবধান হোন। কেননা এটিও ফুসফুস ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।

৪:) শ্বাসকষ্ট বা দম কম পড়া ফুসফুস ক্যান্সারের অন্যতম লক্ষণ হতে পারে। এছাড়া শ্বাস প্রশ্বাসের পথে ব্লক হলে, পথ সরু হয়ে গেলে শ্বাস প্রশ্বাসের শব্দ হুইসেলের মতো শোনালেও সতর্ক হন। তবে শারীরিক আরো সমস্যার কারণেও এগুলো হতে পারে।

৫:) হঠাৎ করে অনেকটা ওজন কমে যাওয়াও এ রোগের লক্ষণ হতে পারে।

৬:) কণ্ঠস্বর কর্কশ বা ফেঁসফেঁসে হলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যান। এই লক্ষণ সাধারণত কাশি বা কফের সময় হয়। তবে এটা যদি দুই সপ্তাহের বেশি হয় তবে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। ফুসফুসের টিউমার কণ্ঠস্বরের স্নায়ুর ওপর প্রভাব ফেললে এই সমস্যা হয়।

৭:)  হঠাৎ করে খিদে কমে যাওয়া ভাল লক্ষণ নয়। এর জন্য শরীরের ক্যান্সার কোষগুলো দায়ী। ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে এমন হতে পারে।

৮:) অনেকেরই হাড় ও মাংসপেশিতে নানা সময়ে ব্যথা হয়। তবে তা সবসময় যে ক্লান্তি বা দুর্বলতার কারণে হয় তা নয়। ফুসফুসে ক্যান্সার হলে এই সমস্যা আরো বেড়ে যায়।

ফুসফুসের ক্যান্সার প্রতিরোধের কোনো সঠিক উপায় জানা নেই।
তবে ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে কি করা উচিত:

১:) ধূমপান বন্ধ করুন এবং ফুসফুসের এর চেক-আপ করবেন​:

আমরা সবাই জানি যে ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য হানিকারক এবং আপনার ফুসফুস ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। কিন্তু এটা ছেড়ে দেওয়ার জন্য এখনো দেরী হয় নেই। যদিওবা  রোগ ধরা পরে, ধূমপান বিরাম আপনার অবস্থা অনেকটা ভালো করতে সাহায্য করে।
 

২:) পরোক্ষ ধূমপান এড়িয়ে চলুন:      

পরোক্ষ ধূমপান আপনার জন্য ততটাই খারাপ যতটা নিজে ধূমপান করা। যদি আপনি ধূমপান না করেন কিন্তু সবসময় ধূমপায়ীদের মধ্যে থাকছেন, এই অবস্থাটি আপনার ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে না। 

৩:) বাড়িতে রেডন গ্যাসের মাত্রা চেক করুন :

রেডন একটি নির্গন্ধ গ্যাস যেটা মাটির মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক ইউরেনিয়াম ক্ষয় হওয়ার কারণ উৎপন্ন হয়। ধূমপান যারা করে না ওদের মধ্যে ফুসফুস ক্যান্সার হওয়ার একটি মুখ্য কারণ হচ্ছে রেডন গ্যাস এই গ্যাস অক্সিজেনের সাথে মিলিত হয়ে আপনার শ্বাসে প্রবেশ করে আপনার ক্যান্সারের ঝুঁকি কে বাড়িয়ে দেয়। রেডন গ্যাসের মাত্রা বাড়িতে চেক করবেন এবং সেই বুঝে এটার প্রতিকার করবেন।


তাহলে আজকের জন্য এইটুকুই , এই লেখাটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে বন্ধুদের মধ্যে share করতে ভুলবেন না।
 আমাদের পরবর্তী লেখাগুলোর নোটিফিকেশন পাওয়ার জন্য ঘন্টার মতো দেখতে বাটনটিতে ক্লিক করুন। 

আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করবেন। আমাদের টিম তার উত্তর যত দ্রুত সম্ভব দেওয়ার চেষ্টা করবে।

সবশেষে ভালো থাকবেন, খুশি থাকবেন আর সুস্থ থাকবেন।


0 comments:

Post a Comment